আজ বলছেন মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছে, আপনি কি সেই ২৪ বছরের ছেলের চেয়ে মেধাবী যে কিনা ২৯.৫ বছরের প্রার্থীর সাথ বিড করে জব পেয়ে গেছে?
দেখেন ১০ টা খালী পোস্টে যদি বিজ্ঞাপন হয় তাহলে সাধারন প্রার্থী নেয়া হবে ৪.৫ জন।
আপনার কাছে কি এমন যাদু আছে যে, যে কাজ ৪ বছরে পারেন নি আর দূটো বছর বাড়ায়ে দিলে করে ফেলবেন। বিষয়টা যে সম্ভব না তা আপনারা আমার চেয়ে ভালো জানেন।
টিউশনি না কোরে, বিকালে আড্ডা থেকে বিরত থাকার মত ত্যাগ যারা ষীকার করে যাচ্ছেন, সময়ের মাঝে তারা প্রস্তুতি তো তারায় নেবে।
আমি আপনাদের কেন বুঝাতে পারছি না এই সমস্যা বয়সে নয়।
আজ টাইম লাইন দেশের উন্নয়ন নিয়ে ষঢ়্গম।
কিন্ত বেকারদের নিয়ে কেও ভাবে না, কোটা এর মত জুলুমকারী ব্যবস্থা আমাদের কীভাবে তিলে তিলে ধংস করছে সে খবর কেও রাখেনা।
কিছুদিন আগে গ্রুপে একটা পোস্ট দিলাম, ” সংসদ সচিবলায়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় স্বাস্থ্য সহকারী/ সহকারী নার্স নিয়োগে কেও লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেনি।” এই পোস্ট এর মাধ্যমে আমি বুঝাইতে চেয়েছিলাম কোটা নিয়ে নার্স নিয়োগে ঝুকি নেয়নি সংসদ সচিবলায়, কারন এতে তাদের স্বাস্থ্যের ঝুকি আছে।
তাহলে এই দেশটা যদি একটি শরীর হয়, দেশের স্বাস্থ্য অযোগ্য কোটাধারীদের হাতে কি ভাবে নিরাপদ।
কিন্তু গ্রুপের এডমিন ডিলিট করে দিলেন আমার পোস্ট, পাশাপাশি আমাই স্পাম হিসাবে রিপোর্ট করলেন।
কোটা ব্যবস্থা একটা ভারী পাথরের মত আমাদের উপর ভর করে আছে, ছোট কোন আন্দোলন এর ক্ষমতা নেই একে সরাতে পারে। কোন দুর্বল সরকারের ক্ষমতা নেই একে পরিবর্তন করে। কিন্তু বর্তমান সরকার অনেক সাহসী সরকার।এই সরকারই পারবে কোটা ব্যাবস্থা সংস্কার করতে।
সিদ্দিক চোখ হারায়ছে, বিনিময় পেয়ে সেও চুপ হয়ে গেছে। আমাদের সিদ্দিক দরকার নাই কারন সিদ্দিকরা একসময় চুপ হয়ে যায়।
আমাদের হোতে হবে নূর হোসেনের মত যারা কিনা বুকে লিখে ঘুরবে “কোটা বাতিল করো”
আমি বুঝি না- কেন আমরা কোটা নিয়ে বলি না, কেন আমরা কোটা বাতিলে আওয়াজ তুলি না। কেন আমরা প্রশ্ন করি ননা, কোটার হাজার হাজার পদ শূন্য রেখে আমাদের কী মেসেজ দেয়া হচ্ছে?
আপনারা বয়স নিয়ে যে পরিমান চিল্লাইছেন তার অর্ধেক যদি চিল্লাইতেন কোটা বাতিলে, তাহলে কাজে দিত। সবার সমর্থন পেতেন।
এখন যদি দাবী করেন থার্ডটাইম ভর্তির সুযোগ দিতে হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, তা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে।
তাই মেনে নেন এ সমস্যা বয়সে নয়, এ সমস্যা কোটায়। কোটার কারনেই আজ ৩০ বছরেও আমাদের কপালে চাকুরী জুটছে না। কোটা বাতিল না করে চাকুরীতে প্রবেশের বয়স ৩৫ বছর করলে যেই লাউ সেই কদু, আগে ৪ লাখ কামড়াইতো ৪৫ পার্সেন্ট কদু/লাউরে। এখন ৮ লাখ কামড়াইবো সেই কদু/লাউরে। আর কোটার শুন্য পদ শুন্যই থেকে যাবে।
আমি বুঝি না,
কোটার জন্য আলাদা করে বিজ্ঞাপ্পন দেয় কি ভাবে..? তাদের কি লজ্জা হয় না..?তাদের কি শরম নাই..? তাদের কি আমাদের সাথে প্রিলি দেবারো সাহস নাই…? তাদের এই অধপতনের কারন কি..?
তাদের সম্মানার্থে ও আমাদের অধিকার আদায়ে আমি কিছু করনীয় নির্ধারন করেছি:
১. প্রতি সপ্তাহে একবার কোটা বাতিলে পোস্ট দিবেন সব বেকার ভাই। লিখবেন, “কোটা বাতিল কর”।
২. নিকটতম রাজনৈতিকে বড় ভাইদের অনুরোধ করব কোটা নিয়ে বক্তব্য দেবার জন্য।
৩. বিভিন্ন শহর থেকে প্রেস কনফারেন্স করতে হবে নিয়োমিত।
৪. বেকারের সঠিক সংখা প্রকাশে সরকারকে অনুরোধ করতে হবে।
৫. কোটার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করা যেতে পারে।
৬. প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আমাদের কী করনীয় তা নির্ধারন করতে হবে।
৭. কোটা বাতিলে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিতে হবে।
আর খেয়াল রাখতে হবে আন্দোলন যেন সরকারবিরোধী না হয়। মনে রাখতে হবে আমরা আন্দোলন করব আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কারো ক্ষমতার হাতিয়ার হবার জন্য নয়।
<<মো: তারেক>>
স্টুডেন্ট, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।