গ্রাজুয়েশনের পর কর্মজীবনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে ব্যস্ত থাকেন অনেকেই।
প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো পছন্দের কোম্পানিগুলোতে নিজের সিভি দিয়ে থাকেন নতুন চাকুরী খোঁজা নতুন পাশ করা ছেলে মেয়েরা। এই সময়ে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত সকলের। হতে পারে আপনার ফলাফল অনেক ভালো কিন্তু কিছু ব্যাপারে সাধারণ জ্ঞান না থাকলে খুব ভালো ফলাফলও আপনাকে চাকুরী যোগাড়ে সহায়তা করতে পারবে না। আবার আপনার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকলেও সাধারণ কিছু বিষয়ে আপনার জ্ঞানের পরিধি মুগ্ধ করতে পারে চাকুরীদাতাকে। তাই কিছু বিষয় একেবারেই ভুলে যাওয়া চলবে না।
১) নিজের ক্যারিয়ার বেছে নিন নিজেই
যদি নিজের জীবনের লক্ষ্য আগে থেকে সেট করে না রেখে থাকেন বা যা হতে চেয়েও পারেননি তার জন্য মন খারাপ করলে চলবে না। নতুন করে ভাবার জন্য সময় কখনো ফুরিয়ে যায় না। গ্রাজুয়েশনের পর হাতের কাছে যা পাওয়া যায় সবখানে সিভি দিয়ে এবং লিংক দিয়ে হলেও চাকুরী যোগাড়ের চিন্তা বন্ধ করুন। নতুন করে লক্ষ্য সেট করুন। নিজের পড়াশোনার সাথে সম্পৃক্ত কোম্পানিগুলো নিয়ে রিসার্চ করুন অথবা নিজের পছন্দের প্রতিষ্ঠানের জন্য যোগ্যতার বিষয়গুলো নিয়ে রিসার্চ করে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন গ্রাজুয়েশনের পরও।
২) প্রফেশনাল সিভি
আপনাকে কোনো প্রতিষ্ঠান কেন ডাকবেন? অবশ্যই প্রাথমিক ভাবে আপনার পাঠানো সিভি দেখে। তাই এই সিভি কোনো অবহেলার বিষয় নয়। আপনি নিজের মনগড়া সিভি পাঠিয়ে ইন্টার্ভিউয়ের ডাকের আশা করতে পারেন না, যদি না আপনার বানানো সিভি অনেক বেশী ক্রিয়েটিভ কিছু হয়। তাই সিভি তৈরি করুন প্রফেশনালদের মতো। ইন্টারনেটে অসংখ্য প্রফেশনাল সিভি তৈরির আর্টিকেল পাওয়া যায়। প্রথমে তা ঘেঁটে সিভি তৈরি করে নিন।এন্ড্রয়েড অ্যাপ – জব সার্কুলার
৩) কোম্পানি বিষয়ে জ্ঞান
আপনি যেখান থেকেই ইন্টার্ভিউয়ের জন্য ডাক পান না কেন, আপনাকে প্রথমেই কোম্পানি সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। আজকাল এই বিষয়টি একেবারেই কঠিন কিছু নয়। প্রায় প্রতিটি কোম্পানিরই নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। ইন্টার্ভিউ বোর্ডের সামনে যাওয়ার আগে অবশ্যই যতোটা সম্ভব জেনে নিন কোম্পানির ইতিহাস, কাজের পরিসর সম্পর্কে।
৪) Practice makes a man perfect
প্রথমবারেই আপনার চাকুরী হয়ে যাবে এমন কোনো কথা নেই। এবং যদি না হয় তা নিয়ে মন খারাপ বা কষ্ট পাওয়া কিছু নেই। কিংবা শুধু শুধু সময় নষ্ট করলেন তাও ভাববেন না। কারণ আপনার অভিজ্ঞতা হয়েছে। এবারের ভুলগুলো পরবর্তীতে করবেন না, এটাই তো অনেক বড় শিক্ষা।
৫) প্রথম ইমপ্রেশন
মনে রাখবেন প্রথম ইমপ্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই নিজেকে যতোটা প্রস্তুত করেছেন তার পুরোটাই উপস্থাপন করার চেষ্টা করুন প্রথমেই। এবং আঙ্গুসাঙ্গিক বিষয়াদি যেমন আপনার বর্তমান বিশ্ব সম্পর্কে জ্ঞান, কমন সেন্স, আপনার পরিপাটি পোশাকআশাক এবং মান্যার এই সব কিছুই ঝালিয়ে নেবেন ইন্টার্ভিউ বোর্ডে যাওয়ার আগে।