তাই সমন্বিত করে প্রিলি ও লিখিত পড়াশোনা করুন যাতে এই বিসিএসেই পছন্দের ক্যাডারের প্রথম সারিতে থাকতে পারেন।
যে কোনো ০৪ টা সাবজেক্ট( সবচেয়ে ভালো পারেন যে যে বিষয়) ওসব টার্ম কার্ড হিসেবে ব্যবহার করুন। ভালোমতো গভীরে গিয়ে পড়াশোনা করুন। যাতে এসবের দ্বারাই প্রিলি পাস করতে পারেন। লিখিতে এগিয়ে যেতে পারেন। অন্য বিষয়ের দুর্বলতা সমাধানের ট্রাই করুন তবে মাতালের মতো নয়। আনুপাতিক হারে সব বিষয়ে প্রাপ্ত সময়টা ই প্রোপারলি ডিস্ট্রিবিউট করুন।
বাংলার ক্ষেত্রে প্রয়োগ -অপপ্রয়োগ, বানান, শুদ্ধি, বাক্য, শব্দ, প্রাচীন ও মধ্যযুগ এবং আধুনিক ১১ সাহিত্যিক, পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য সংক্রান্ত স্টাডির পাশাপাশি, ইংরেজির ভোকাভুলারি, পার্টস অফ স্পিস,জয়েনিং সেন্টেন্স লিখিতের বই থেকে প্রিলির সাথেই আদ্যোপান্ত শেষ করে ফেলুন।
আরো কথা হলো- যেসব সেগম্যান্ট(অনুবাদ, সারাংশ, সারমর্ম, রচনা, ব্যাকরণ, গ্রাফ-চার্ট, সংবিধান,সমীক্ষা, ম্যাপ প্রভৃতি) এ লিখিতে ক্যান্ডিডেটরা অনেক ক্ষেত্রেই কম মার্কস্ পায় -এই টপিকগুলা অন্তত পরীক্ষার তারিখ ঠিক হওয়ার আগ পর্যন্ত ভালোভাবে এগিয়ে রাখুন। অনেক ফায়দা পাবেন, নয়তো প্রিলিতে টেকার পরে হয় ওসব ভালোমতো কাভার করতে পারবেননা নয় কোনোমতে লিখিত পাশ করলেও সান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে ভাইভা দিতে পারলেও ক্যাডার পাবেননা-যদিও পান সেটা হবে পছন্দের নিম্নক্রম।এন্ড্রয়েড অ্যাপ – জব সার্কুলার
তাছাড়া, এতো এতো পড়ার ভীড়ে অথবা অন্যদের আড্ডাবাজী বা চলাফেরা দেখে নিজেকে মাঝে মাঝে খুবই অসহায় মনে হবে- কষ্টগুলো মেনে নিন। আরে ভাই, স্যাক্রিফাইস বা কম্প্রোমাইজ ছাড়া জীবনে ভালো ও বড় কিছু পাওয়া বা হওয়া যায়না। কারো মনে আঘাত না দিয়ে নীরবে বিনয়ের সাথেই নিজেকে, নিজের কাজ আর স্রষ্টাকে ই শুধু ভালোবেসে কঠোর অথচ হিসেবি স্টাডি করুন, সৃষ্টিকর্তা আপনার সহায় হোক। প্রকৃতি আপনার এই কষ্ট ও ত্যাগের বিনিময় কড়ায়গণ্ডায় বুঝিয়ে দেবে- জাস্ট ওয়েট এন্ড সি।
পড়তে পড়তে খুব ক্লান্ত লাগলে স্বপ্নটা পূরণ হয়ে গেলে আপনি আপনার চারপাশের পরিবেশটাতে কি করে রেডিক্যালি বদলে যাবেন সেটা ভাবুন- কষ্ট চলে যাবে ইনশা আল্লাহ অথবা বাবা মায়ের কষ্টকে সম্মান দিতে হলেও এই খাঁটুনিটাকে মেনে নিন।
‘আপনি আপনার স্বপ্নের যত্ন নিন, স্বপ্নও আপনার কেয়ার নিবে; স্বপ্নকে ছুঁয়ে ফেলার সুন্দর মুহূর্তে আপনাকে অগ্রিম অভিনন্দন।”
“স্বপ্নপূরণে জাস্ট স্বপ্নটাকে মাথায় রেখে সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কিছুই তোয়াক্কা না করে প্রচুর পরিশ্রম করতে থাকুন, দেখবেন চূড়ান্ত ফলাফলে আপনি অন্তর্ভূক্ত থাকবেন ই।”
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিজের সুস্থতা -সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মাগনা মাগনা বকবকানি আজ এ পর্যন্তই। আল্লাহ সবাইকে হেদায়াতপ্রাপ্ত করুক-আমিন।
গুড লাক।
শুভকামনায়-
আব্দুল আওয়াব(স্পন্দন)
আপনাদের ই শুভাকাঙ্ক্ষী।