>যা করার, একবারেই করুনঃ
অনেকে আছেন, উত্তর করার সময় কনফিউজিং প্রশ্ন পরে মনে পড়বে ভেবে রেখে দেন। এই কাজ কখনোই করবেন না। যা ভাবার, সর্বোচ্চ মেধা, স্মরণশক্তি  খাটিয়ে একবারেই ভাবুন। উত্তর দিলে এখুনি দিন, না দিতে চাইলে একেবারে বাদ দিয়ে দিন। ‘তার’ আর ‘পর’ রাখবেন না। বিপদ বাড়বে। পরে হল থেকে বের হয়ে দেখবেন, অনেকগুলো জানা প্রশ্ন এই “পরে ভেবে দেখব” নীতি অবলম্বনের কারনে বাদ পড়ে গেছে।
>>কতগুলো প্রশ্নের উত্তর করবেনঃ
প্রথমত বলব, ইট ডিপেন্ডস। প্রশ্ন কেমন হয়েছে সেটা এ ক্ষেত্রে ফ্যাক্টর। তবে আপনার জন্য সতর্কবার্তা হলো,  “প্রশ্ন সহজ, নাকি কঠিন হয়েছে” পরীক্ষার হলে বসে করা আপনার এ সম্পর্কিত অনুমান ৯০% ক্ষেত্রে পরবর্তী সময়ে ভুল প্রমাণিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমি এ ক্ষেত্রে রিস্ক নেওয়ার নীতি অবলম্বনের পক্ষে।
যদি দেখেন, পরীক্ষা আপনার সম্পূর্ণ প্রতিকূলে।  খুব কম প্রশ্নের উত্তরই আপনি পারছেন, তখন বুঝবেন, আজ আপনার ঝুঁকি নেওয়ার দিন। অর্থাৎ একটু বেশি প্রশ্নের উত্তর করা।  স্পষ্ট করে যদি বলি-এক্ষেত্রে  আপনি তিন ধরনের প্রশ্নের উত্তর করবেন-
১. নিশ্চিত উত্তর
২. দুইটার মধ্যে একটা শিওর( এক্ষেত্রে অনুমান করে একটা মেরে দিন)
৩. তিনটার মধ্যে একটা শিওর, বাকি একটা যে হবে না, তা কনফার্ম  ( এক্ষেত্রেও অনুমান করে একটা মেরে দিন)
*** কোন অবস্থাতেই ব্লাইন্ড মারা যাবে না।
অন্যদিকে, যদি দেখেন পরীক্ষার প্রশ্ন মোটামুটি আপনার পক্ষে যাচ্ছে, -এক্ষেত্রে  আপনি দুই ধরনের প্রশ্নের উত্তর করবেন-
১. নিশ্চিত উত্তর
২. দুইটার মধ্যে একটা শিওর(  অনুমান করে যে কোন একটা মারুন)
পয়েন্টস টু নোটঃ
>>হলে যাওয়ার সসময় কি কি সাথে  নিবেনঃ
প্রবেশপত্র, তিনভাগের দুইভাগ কালি শেষ করা অবস্থায় কমপক্ষে দুটি বলপয়েন্ট কলম ।( আমি ফাইনগ্রিপ কলম নিয়েছিলাম। নতুন কিনে থাকলে এমন করে নিন, বৃত্ত ভরাট করতে সুবিধা হবে,  কালি মোটা হয়ে আসবে,  কোনভাবেই জেলপেন ইউজ করা যাবে না, পেন্সিল ( না নিলেও চলে)
>>কি কি নিবেন নাঃ
ঘড়ি, মোবাইল, ক্যালকুলেটর  বা অন্যকোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস।
>> পরীক্ষা চলবে সকাল ১০.০০ থেকে ১২.০০ পর্যন্ত। তবে হলে ঢুকতে হবে সাড়ে নয়টার দিকে। তাই বাসা থেকে এমন সময় করে বের হবেন, যেন সর্বোচ্চ ৯০০ টার মধ্যে কেন্দ্রে পৌছাতে পারেন।
>> রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও সেট কোড এই দুইটা পূরণে কোন রকম ভুল/ ঘষামাজা  যেন না হয়, সতর্ক থাকুন। কোন রকম ভুল হয়ে গেলে সাথেসাথে ইনভিজিলেটরদের অবহিত করুন।
পরীক্ষার আগমুহূর্তে ভাইব্রাদারদের উদ্দেশে  আমাদের অতি কমন – প্রচলিত একটি প্রশ্ন ‘প্রস্তুতি কেমন’।  এই প্রশ্নের উত্তর সাধারণত  দুই ক্যাটাগরির মানুষের কাছ থেকে ভিন্নভিন্নভাবে পাওয়া যায়। এ সম্পর্কে একটি জোকস বলে শেষ করি-
>>বাসায় রোবট কিনে আনা হলো।
তার কাজ হলো, যে মিথ্যা কথা বলবে তাকে চড় মারা।
ছেলে অনেক রাত করে বাসায় ফিরেছে।
বাবা : এতো রাতে কোথায় ছিলে ?
ছেলে : বন্ধুর বাসায়।
রোবট এসে ছেলেকে কষে একটা চড় দিলো।
চড় খেয়ে ছেলে সত্য কথা বললো, বাসার সামনের দোকানে সিগারেট খেতে গিয়েছিলাম ।
বাবা রাগে বললো, এতো বড় সাহস! এই বয়সে সিগারেট খাস!
তোর বয়সে তো আমি সিগারেটে হাত দিয়েই দেখিনি!
এবার রোবট এসে বাবাকে চড় দিলো।
ছেলের সামনে বাবা চড় খাচ্ছে দেখে মা এসে বললো, বাদ দাও তো তোমার’ই তো ছেলে!
এইবার রোবট এসে মাকে’ও চড় দিলো ।
সাথে সাথে বাবা অজ্ঞান।
মোরাল অব দ্য স্টোরিঃ
কেউ বলবে, আমার পরীক্ষার প্রস্তুতি খুব ভালো, কোন দিক পড়ার বাকি রাখিনি ( ঠাডায়ে চড়)
অনেকেই বলবে  আমি বইই খুলিনি( ঠাডায়ে চড়)
নিরন্তর শুভকামনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *