★বিসিএস(প্রিলি.) নিয়ে কিছু কথা:
১। বিসিএস (প্রিলি.) পরীক্ষাকে নিছক একটি পরীক্ষা হিসেবে কল্পনা করুন।
২। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা নিয়ে কখনো ভাববেন না।
৩। নিজের উপর আস্থা রাখুন।
৪। পরীক্ষার হলে অন্যকে হেল্প করা বা অন্যের কাছ থেকে হেল্প পাবার আশা পরিহার করুন।
৫। পরীক্ষার হলে পরিষ্কার কাপড় (আপনার সবচেয়ে প্রিয়) পরিধান করার চেষ্টা করবেন। এতে করে আপনার মন ভাল থাকবে।
৬। পরীক্ষার হলে অবশ্যই পানি,একাধিক কলম ও এডমিট কার্ড নিয়ে প্রবেশ করবেন।
৭। পরীক্ষার আগের রাতে পরীক্ষা কেন্দ্রের আশেপাশে থাকার চেষ্টা করবেন।
★প্রশ্ন দাগানো কত নং থেকে শুরু করবেন:
উত্তর করার ক্ষেত্রে ১ নং থেকে শুরু করার চেষ্টা করবেন। এক্ষেত্রে যদি পরপর কিছু প্রশ্নের উত্তর করতে ব্যর্থ হন তাহলে ভিন্ন পথ (১ নং থেকে শুরু না করে সুবিধামত শুরু করবেন) অবলম্বন করবেন। এতে করে আপনার কনফিডেন্স হারানোর ভয় থাকবে না।
★কাটমার্কস কত হতে পারে?
পরীক্ষার প্রশ্নের উপর মূলত কাটমার্কস নির্ভর করে। তবে ১১০-১১২ নাম্বারকে সেফ জোন হিসেবে কল্পনা করা যেতে পারে।
★কতগুলো প্রশ্ন দাগাবেন?
বিসিএস (প্রিলি.) এমন একটি পরীক্ষা, যেখানে আপনার কিছু প্রশ্নের (~২০) উত্তর ভুল হওয়ায় স্বাভাবিক। সুতরাং ১১০ নাম্বারের উপরে পেতে গেলে
আপনাকে অবশ্যই ১৪০ টি প্রশ্নের উপরে দাগাতে হবে।। তবে ১৪৫-১৬০ টি প্রশ্ন দাগানোর চেষ্টা করবেন।
★গনিত অংশ কখন দাগাবেন?
বিসিএস (প্রিলি.)-তে গনিত একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। গনিত অংশটুকু পরীক্ষার মাঝামাঝি সময়ে দাগানোর চেষ্টা করবেন।
শুভ কামনায়,
————–
মো: আব্দুল্লাহ আল বাকী,
সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সুপারিশপ্রাপ্ত),
মেধাক্রম- ৭ম,
৩৬ তম বিসিএস।
(৩৯ তম আবর্তন,
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান,
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।)