যারা অংশগ্রহণ করবেন তারা নিম্নোক্ত বিষয় সমূহহ খেয়াল রাখবেন
১. দৌড় : জেলা অনুযায়ী প্রথমে দৌড় শুরু হবে। প্রার্থী বেশি হয় তাই সাধারণত ১৮-২০ জন করে গ্রুপ করে প্রায় ২০০ মিটার এর মত দৌড় শুরু হবে। মনে রাখবেন কখনো দৌড়িয়ে পিছনে পড়বেন না। যারা পিছনে পড়বে এমন ৪-৫ জন কে বাদ দিয়ে থাকে সাধারণত ঐ গ্রুপ থেকে।
২. লং জাম্প : ৫ ফুট এর মত লং জাম্প দিতে হয়। মনে রাখবেন জাম্প করার সময় যেন disqualified না হন।জাম্প করে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়বেন। অনেকে জাম্প করার পর পেছনে ঝুঁকে পড়ে যান। এতে করে disqualified হওয়ার সম্ভাবনা বেশি করে থাকে
৩. রোপিং : রশি বেয়ে প্রায় ১৫ ফুট এর মত উঠতে হয়। এখান থেকেও অনেকেই বাদ পড়ে। দ্রুত রশি বেয়ে ওঠার চেষ্টা করবেন। যে যে ভাবে পারেন উঠবেন। তবে সহজ পদ্ধতি হলো পায়ের বৃদ্ধা আঙুল ও তর্জনী আঙুলের ফাঁকে রশি আটকিয়ে হাত দ্বারা রশি টেনে উপরে উঠা।
৪. মেডিক্যাল : মেডিক্যাল থেকে উচ্চতা ছাড়াও ওভার ওয়েট এর জন্য বাদ যায়। অনেক সময় ওভার ওয়েটের জন্য কিছু টা ছাড় দেয়। আবার ১ কেজি বেশি হওয়ার কারণে বাদ পড়তে দেখেছি। এটা মেডিক্যাল তত্ত্বাবধায়ক স্যার এর উপর নির্ভর করে। যাদের ওয়েট বেশি তারা একটা পদ্ধতি অবশ্যয় প্রয়োগ করবেন। সেটা হলো পেট যতটুকু সম্ভব খালি রাখুন। মেডিক্যাল এ যাওয়ার আগে প্রাকৃতিক কাজ সেরে ওয়েট কিছু টা কমিয়ে রাখুন। অবশ্যয় জার্সি টাইপের হাফ প্যান্ট( পুং দের জন্য) পরবেন আর গায়ে একটা পাতলা স্যান্টো গেঞ্জি গায়ে দিবেন এতে করে ওয়েট কিছুটা হলেও কম হবে। অনেকেই জিন্স প্যান্ট পরে মেডিকেল এ যায় এতে করে ওয়েট কিছুটা হলেও বেশি শো করে। আমি নিজেও এরকম প্রব্লেম এ পড়েছিলাম তাই কথা টা শেয়ার করলাম।
সবশেষে বলব মাথায় ইতিবাচক চিন্তা রাখুন। মাত্র ৩০৩( তিন শত তিন ) টাকায় আপনার sub inspector এর জব টা হবে। এর বাইরে আপনি আর কিছু ভাববেন না।
সবার জন্য রইল শুভ কামনা
দেব্রত কুমার
শিক্ষানবিশ সার্জেন্ট, ২০১৭ ব্যাচ
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা
শিক্ষানবিশ সার্জেন্ট, ২০১৭ ব্যাচ
বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদা