প্রথমেই বলব বাংলাদেশ ব্যাংকের পরীক্ষা গুলো বরাবরই একটু কঠিন টাইপের হয় যদিও এটি নির্ভর করে যে ডিপার্টমেন্ট পরীক্ষা নেবে সেটির ওপর । আমার অভিজ্ঞতা বলে কার্ট নম্বর কখনোই ৫৫+ হয় না । এমনকি অনেক সময় ৪৫-৫৫ এর মধ্যেই থাকে । যেহেতু এখন অনেক কম্পিটিশন সেহেতু ৬০একেবারেই সেভ জোন । সো পরীক্ষায় আপনাকে ভেরি ক্যালকুলেটিভ হতে হবে । আর এই কয়দিন ট্যাকটিকালি পড়লে প্রিলি পার হয়ে যাবেন ।
চলুন প্রথমেই নম্বর বণ্টন টা দেখে নিই
মোট নম্বর -১০০
১। বাংলা -২০
২। মানসিক দক্ষতা ও গণিত (২০+১০)=৩০
৩। কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি – ১০
৪। সাধারণ জ্ঞান ( বাংলাদেশ + আন্তর্জাতিক ) =২০
৫। ইংরেজি – ২০
এখন আসি সর্টকার্ট পড়ায়
প্রথমেই এই কতদিনের নিজের ইচ্ছা মতো ভাগ করে নিন কোনটিতে কত সময় দিবেন ।
১। বাংলা
বাংলায় বরাবরই ইজি হয় কিংবা বিভিন্ন ব্যাংকের প্রশ্ন থেকে রিপিট হয় ।
তাই প্রথমেই বাংলাদেশ ব্যাংকের সকল পরীক্ষার বাংলার সব প্রশ্ন পড়ে ফেলুন ।
এই মুহূর্তে বাংলার সাহিত্য পড়ার দরকার নেই । কূল কিনারা পাবেন না । আগের যা পড়া আছে তাই দিয়েই হবে । বিগত সালের প্রশ্ন সলভ করলেই হবে । শুধু ব্যাকরণ পার্টের বেসিক যেমন ( ভাষা , শব্দ , সন্ধি , সমাস , কারক , সমার্থক শব্দ , বাক্য , বাগধারা – প্রবাদ প্রবচন , বিপরীত শব্দ , উপসর্গ , প্রত্যয় , শুদ্ধ বানান ঝালিয়ে নিন।
.
২।মানসিক দক্ষতা ও গণিত
কথায় বলে No maths , No Bank jobs .এই অংশে ভালো করার ওপর নির্ভর করবে আপনি প্রিলিতে টিককবেন কিনা । যদিও আপেক্ষিক এটি । যদি অন্য পার্টে আপনি কাভার করতে পারেন তবে ভাল । তবুও এই অংশে আপনাকে এগিয়ে থাকতেই হবে । Aptitude Test – ২০ নম্বর !! যারা ভালো তাদের কাছে এই পার্ট না পড়েও ভালো নম্বর পাবেন । কিন্তু পরীক্ষার হলে মাথা অনেক সময় সাপোর্ট দেয় না তাই আগে থেকেই ধারণা নিয়ে গেলে দ্রুত উত্তর বেরকরতে পারবেন । এই কয়দিন বিগত সালের গুলো ভালো করে অনুশীলন করুন , ধারণা নিন , সর্ট কার্টে বের করার পদ্ধতি মনের মধ্য গেঁথে নিন ।
.

গণিতে ছোট ছোট অংক আসে , ইংরেজিতে আসে তাই অনেকেই ঘাবড়ে যান ।ঘাবড়ানোর কিছু নেই , মাথা ঠাণ্ডা রাখুন । এই কয়দিন গণিতে একটু বেশি সময় দিন , গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টার গুলো ভালো করে অনুশীলন করুন ।
GRAPH, PIE CHART নিয়ে না ভেবে অন্য গুলো আগে উত্তর করুন।

৩।কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি – ১০
এই পার্টে ভালো নম্বর ওঠানো যায় তাই বেশি গুরুত্ব দিন । বাংলাদেশ ব্যাংক সহ সব ব্যাংকের পরীক্ষার গুলো ভালোভাবে সলভ করুন । হাতের কাছে যে বইটি আছে একবার রিভিশন দিন ।

৪।সাধারণ জ্ঞান ( বাংলাদেশ + আন্তর্জাতিক ) =২০
এই পার্টে বেশি টাইম দেওয়ার দরকার নেই । এতদিন যা পড়েছেন তা দিয়েই হবে । খুব বেশি পড়তে চাইলে বিগত সালের গুলো দেখুন কোনো টাইপের প্রশ্ন হয় , তাতে যদি কোন টাইপে আপনার দুর্বলতা থাকে তাহলে সেটি দেখে নিন। অনেকেই সাম্প্রতিক তথ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তাদের বলি সাম্প্রতিক তথ্য ৫-৬ টা আসে । কিছু উত্তর আপনি এমনিই পেরে যাবেন পত্রিকা পড়া থাকলে । আর কখনো এমন কঠিন আসে যে কেউ পারে না তাই ভেবে চিন্তে পড়ুন । খুব পড়তে চাইলে বিগত ৩-৪ মাসের কারেন্ট অ্যাফেয়ার্সের সাম্প্রতিক পাতা গুলো দেখুন ।

৫। ইংরেজি
ব্যাংকের ইংরেজি মানেই বিদঘুটে টাইপের ভোকাবুলারি ( সিনোনিম ও এ্যান্টোনিম) আর এনালজি । এই দুই পার্টে বিশেষ করে ভোকাবুলারি পার্টে বেশি জোর দিন । পাশাপাশি ইংরেজি গ্রামারের বেসিক কনসেপ্ট যেমন : correction , Sub- verb agreement , Right forms of verbs , appropriate preposition , one words substitution , Pharse & Idioms এ গুরুত্ব দিন । প্যাসেজের উত্তর আগে করতে যাবেন না । প্যাসেজ টা একবার দ্রুত পড়ে ফেলুন একটু বোঝার চেষ্টা করুন কি বিষয়ে বলেছে । এবার প্রশ্নে যান । প্রশ্নগুলো ভালো করে বুঝে প্যাসেজের কোন জায়গা থেকে দিয়েছে সেই বাক্যটি আন্ডার লাইন করুন ।ফলে সহজেই উত্তর পেয়ে যাবেন ।
/
একটা কথা মনে রাখবেন আপনাকে সব প্রশ্নের উত্তর করতে হবে না বা পারতে হবে না সো বি ক্যালকুলেটিভ ।

সবার জন্য শুভ কামনা রইল
শুভকামনায়
আপনাদের জাকির ভাই ।
Zakir’s BCS specials