আশা করছি আপনারা ইতোমধ্যে আবেদন সম্পূর্ণ করেছেন এবং প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। আমি আপনাদের প্রস্তুতিকে আরো একটু শানিত করতে চাই।
প্রথমত আপনারা প্রাথমিকের সহকারি শিক্ষক নিয়োগের একটি গাইড সংগ্রহ করে ফেলেন। হতে পারে সেটা প্রফেসরস/ওরাকল/জিনিয়াস/জেনুইন বা অন্য যে কোন একটা।
পড়ার পদ্ধতিঃ
১: গাইডের শুরুতেই দেখবেন পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়ে কিছু নির্দেশনা দেওয়া আছে। সেগুলো এক বার চোখ বুলিয়ে নেন।
২: বিগত প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় আগত সকল প্রশ্ন গুলো পড়ে শেষ করুন।
৩: গাইডের টপিকস ধরে পড়ুন। যেমন বাংলা/ইংরেজি /গনিত
গাইডে সাধারনত সিলেবাস অনুযায়ী টপিকস সাজানো থাকে সেগুলো পড়ে শেষ করুন।
৪:বাংলার জন্য, ব্যাকরণ অংশে অধিকতর গুরত্ব দিন। যেমন শব্দ, পদ, লিঙ্গ, সন্ধি, সমাস, কারক, এক কথায় প্রকাশ, যতি চিহ্ন, উচ্চারণ ইত্যাদি। সাথে বিখ্যাত কিছু বাংলা কবি ও সাহিত্যকদের জীবন ও কর্ম পড়ে রাখবেন।
৫: ইংরেজির জন্য বাংলার মতই গ্রামার অংশে বেশি গুরত্ব দিবেন যেমন, parts of speech, number, gender, tense, voice, sentence, word meaning, correct spelling, synonym, antonym, right form verbs etc.
সাথে কিছু বিখ্যাত ইংরেজি সাহিত্যকদের কর্ম।
৬: গনিতের জন্য , ৫ম হতে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত অংক গুলো বেশি বেশি করে অনুশীলন করুন। সম্ভব না হলে গাইডের অংক গুলো অনুশীলন করুন।
৭: সাধারন জ্ঞান, বিজ্ঞান ও কম্পিউটার অংশের জন্য প্রচলিত গাইড হতে পড়ুন।
মনে রাখবেন, দেশে সরকারি চাকরি পরীক্ষার মধ্যে প্রাথমিকে যেহেতু সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রতিযোগী অংশগ্রহন করে সুতরাং আপনাকে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে হলে অধিক পড়াশুনার কোন বিকল্প নাই।
সেজন্য আপনি অধিক প্রস্তুতির জন্য অতিরিক্ত গাইড বই যেমন, জব সূলুশন, এমপি থ্রি, কিংবা বিসিএস প্রিলিমিনারি ইত্যাদি সাথে পড়তে পারেন।
এছাড়াও যে কোন পরামর্শ ও সহযোগিতার জন্য আছি আমি,
মোঃ ইবরাহীম হোসেন
বিএ অনার্স, এমএ (দর্শন বিভাগ)
রাজশাহি বিশ্ববিদ্যালয়।
সহকারি শিক্ষক,
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,
সাপাহার, নওগাঁ।