বিসিএস পরীক্ষায় ভাল করার কৌশলঃ দৈনন্দিন বিজ্ঞান

আজকে আমরা উদ্ভিদবিজ্ঞান ও প্রাণীবিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করব। এই দুটি অধ্যায় থেকেই নিয়মিত প্রশ্ন আসে। আসলে আমি এই পোস্টগুলোতে শুধু গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়গুলো নিয়েই আলোচনা করব। এই অধ্যায়গুলো ভালমতো পড়তে হবে।এছাড়াও সিলেবাস দেখে আপনারা বাকি টপিকগুলো শিখে নেবেন।
সবসময় মনে রাখতে হবে যে- যেটুকু শিখবেন খুব ভালমতো শিখবেন। খুব বেশি পড়ে মাথা জ্যাম করে ফেলবেন না। তাহলে MCQ টাইপের পরীক্ষাতে গিয়ে কনফিউজড হয়ে যেতে হয়। জীববিজ্ঞানের সূচনা করেছিলেন মূলত অ্যারিস্টটল। তাই তাকে জীববিজ্ঞানের জনক বলা হয়। কিন্তু “BIOLOGY” বা “জীববিজ্ঞান” শব্দটির প্রবর্তন করেন বিজ্ঞানী ল্যামার্ক। এই ধরণের সূক্ষ্ম বিষয়গুলো সবসময় খেয়াল করে পড়তে হবে। কারণ আপনার কাভার করা অধ্যায় থেকে এক মার্ক ভুল হলেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় আপনি পিছিয়ে পরবেন।
জীববিজ্ঞানের প্রাথমিক আলোচনা থেকে বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রশ্ন হয়ে থাকে। এই অধ্যায় থেকে খুব বেশি জিনিস পড়তে হবে না। জীববিজ্ঞানের কোন অংশ কি নিয়ে আলোচনা করে এই বিষয়টি এই অধ্যায়ের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। বিগত বছরের প্রশ্ন লক্ষ্য করলে দেখবেন- জীববিজ্ঞানের কোন শাখা টিস্যু নিয়ে আলোচনা করে? কোনটি ভাইরাস নিয়ে আলোচনা করে, কোনটি ছত্রাক নিয়ে আলোচনা করে এই ধরনের প্রশ্ন প্রায়ই আসে। দুটি চার্ট তৈরি করবেন। একটি মৌলিক শাখার জন্য, আরেকটি ফলিত শাখার জন্য। বিভিন্ন গাইড বইতে দেখবেন এগুলোকে সিরিয়ালে সাজানো আছে। এগুলো মনে রাখা তেমন কঠিন কাজ না। দেখবেন বেশিরভাগ শাখার কাজের সাথেই তার নামের মিল আছে। যেমন- ভাইরাস নিয়ে আলোচনা করে ভাইরোলজি, ব্যাকটেরিয়া নিয়ে- ব্যাকটেরিওলজি। তবে কিছু ব্যতিক্রম আছে। এগুলো ছাড়া কিছু কমন জিনিস থেকে প্রশ্ন হতে পারে। যেমন- ক্যারোলাস লিনিয়াস কোন বই লিখেছিলেন, অরিজিন অফ স্পিসিস কে লিখেছে, পেনিসিলিন কে আবিষ্কার করে, কোষ নামকরণ করেন কে, হাক্সলি কোন দেশের বিজ্ঞানী, মাইট্রোকন্ডিয়ার কাজ কি, সালিম আলী কোন নামে পরিচিত? ইত্যাদি। fb/BDCareerGuide
উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও প্রাণী বিজ্ঞান পড়ার শুরুতেই পাঠ্য বই থেকে কোষ বিষয়ে সবকিছু ভালমতো শিখে ফেলবেন। কোষ থেকে প্রচুর প্রশ্ন হয়। এই অধ্যায়টি ভালমতো শিখলে প্রিলির পাশাপাশি রিটেনের প্রস্তুতিও হয়ে যাবে। প্রাণী কোষ ও উদ্ভিদ কোষের পার্থক্য, মাইট্রোকন্ডিয়ার কাজ কি, রাইবোসমের কাজ কি, DNA, RNA, ভাইরাসের গঠন, ব্যাকটেরিয়ার গঠন, ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে পার্থক্য ইত্যাদি বিষয়গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। মাইটোসিস/মিয়োসিস কোষ বিভাজন থেকে প্রায়ই প্রশ্ন হয়। উদ্ভিদ বিজ্ঞানের জন্য- ফসলের কোন রোগের জন্য কোন ভাইরাস দায়ী এগুলো চার্ট করে পড়বেন। তারপর কোন ফলে কোন এসিড থাকে, এগুলো থেকেও মাঝে মাঝেই প্রশ্ন হয়।
BIRI, IRRI, ICZN সহ এধরনের এগুলোর ফুল মিনিং গুলো দেখে রাখবেন। সালোকসংশ্লেষণের বেসিক বিষয়গুলো পাঠ্য বই থেকে শিখতে হবে। ক্লোরোফিলের ভূমিকাটাও গুরুত্বপূর্ণ।
প্রাণীবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরণের টিস্যু ও প্রাণীজগতের পর্বের নামগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পেঁচা দিনে দেখতে পায় না কেন, বাদুড় রাতের বেলায় কি পদ্ধতিতে চলাফেরা করে এই টাইপের জিনিসগুলো পরীক্ষায় আসে। কিছু কমন প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম আসে। তাই খুব বেশি বৈজ্ঞানিক নাম মুখস্থ করে মাথার উপর চাপ ফেলবেন না।
জীবন্ত জীবাশ্ম কোনটি, বংশগতির বৈশিষ্ট্য বহন করে কোনটি,প্রাণীদের বিভিন্ন ধরণের কারণ, শুশুক কিভাবে শ্বাস নেয়, মাকড়শার কয়টি চোখ, কোনটি মেরুদণ্ডী প্রাণী, কোনটি অমেরুদণ্ডী প্রাণী এই টাইপের প্রশ্নগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিগত বছরের প্রশ্ন দেখে এই বিষয়গুলো ধরে ফেলতে হবে। তাহলে কম সময়েই ভাল প্রস্তুতি নেওয়া সম্ভব হবে।
আজ এ পর্যন্তই থাক। লক্ষ্য স্থির রেখে স্টাডি চালিয়ে যান। সফলতা খুব বেশি দূরে নয়। সবাই ভাল থাকবেন।
We must let go of the life we have planned, so as to accept the one that is waiting for us. — Joseph Campbell
লেখা সংক্রান্ত যেকোনো পরামর্শের জন্য আমার ফেসবুক inbox এ লিখতে পারেন। Facebook ID: Avizit Basak
বি দ্রঃ লেখাটাতে শুধু আমার নিজের আইডিয়া অনুযায়ী ধারণা দেয়া হয়েছে। আপনি আপনার মত করেও প্রস্তুতি নিতে পারেন। সফল হবার জন্য যে প্রস্তুতি দরকার, সেটা সম্পন্ন করাটাই মুখ্য কাজ।আর ছোটখাটো ভুল থাকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন দয়া করে।

If you like the post, share it and give others a chance to read it.

Farhad Hossain

This author may not interested to share anything with others on this site.

Like us on Facebook

Twitter Feed

Recent Comments

No comments to show.