পূবালী ব্যাংকের প্রস্তুতি (TAJO & PJO)
**********************
আমি মনেকরি অভিজ্ঞ ব্যক্তি সবসময় এগিয়ে থাকেন। যে কোন জব এক্সামে একটা অভিজ্ঞতাকেই কাজে লাগিয়ে প্রতিযোগিতার এই যুগে আসমুদ্রহিমালয় জয় করতে পারেন।
গতকাল Pubali Bank এর TAJO পদের MCQ পরীক্ষার রেজাল্টের পর বিভিন্ন গ্রুপে যে আনাগোনা চলছে তাতে ধারণা করা যায় পূবালী ব্যাংকের এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় অভিজ্ঞদের চেয়ে নতুন/নবীন বা সদ্য পাশ করা প্রতিযোগী বেশিই মনে হচ্ছে।
কারণ ইতোমধ্যে ব্যাংক প্রতিযোগিতার বাঘা বাঘা অভিজ্ঞ খোলোয়ারবৃন্দ বিভিন্ন রাষ্ট্রয়ত্ব ব্যাংকে যোগদান করেছেন/ যোগদানের পাইপ লাইনে প্রসেসিং এ আছেন(মানে সুপারিশপ্রাপ্ত)। একারণে সিংহভাগ ঘাঘু(অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বয়স্ক) প্রতিযোগী মাঠে নেই বলে মনে হয় ফলে তুলনামূলক কম্পিটিশনও উচ্চ পর্যায়ে যাবার সম্ভাবনা কম।
এত সব ভ্যাঁজর ভ্যাঁজর করলাম আপনাদের স্পিরিট বাড়াতে যেন চিন্তা না আসে যে, এত এত পরীক্ষার্থীর ভীরে আমি কি পারবো রিটেন কোয়ালিফাই করতে!সব চিন্তা বাদ দিয়ে লাইনে আসি===>>
প্রবেশপত্রে বলেই দিল পরীক্ষা হবে ১ঘন্টা।
তার মানে পরীক্ষা সর্বোচ্চ ১০০ মার্কের রিটেন হবে।
২০১৭ সালের নিয়োগ পরীক্ষার ১০০ মার্কসের প্রশ্ন দেখে এটা ধারণা করা যায় এবারেও প্রশ্নের প্যাটার্ণ তেমনই হতে পারে।
আসুন দেখি কেমন হতে পারে প্যাটার্ন:
১) ইংলিশ ফোকাস————২০
২) বাংলা ফোকাস————-২০
৩) অনুবাদ (E to B)———–১৫
৪) Translation (B to E) —–১৫
৫) Maths (2/3)—————৩০
————————————
সর্বমোট = ১০০
এর ভিতরে আর কোন প্রশ্ন ঢুকানোর সম্ভাবনা কম তারপরও যদি একটা পত্র লিখতে দেয় তাহলে সেটাতে অবাক হবার কিছু থাকবেনা।
এতকিছু ১ঘন্টায় যেকোন বান্দার পক্ষে লিখে শেষ করা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার।তারপরও চাকরিতো হবেই কারো না কারো। কৌশলে টিকে থাকতে হবে ৬০ মিনিটের গেম প্লানিং করে।প্রথম কথা, হাফ সেকেন্ড (প্রচলিত কথার কথা)টাইম নষ্ট করার সময় থাকবেনা।
যদি প্রশ্নে বলা থাকে Chronological Order এ উত্তর লিখতে হবে তাহলে কোন অবস্থাতেই সময় নষ্ট না করে প্রশ্ন হাতে পেয়ে প্রতিটি ফোকাস রাইটিং এর জন্য দুই
পৃষ্ঠা, প্রতিটি অনুবাদের জন্য একপৃষ্ঠা, আর প্রতিটি গাণিতিক দক্ষতার জন্য একপৃষ্ঠা বরাদ্দ রেখে প্রশ্নের উত্তর লেখার জন্য পৃষ্ঠা নাম্বারিং করা যেতে পারে। পৃষ্ঠা ভাগ করা পর ম্যাথ ১ টা বা ২ টা যেটাই পারেন সেটাই দ্রুত করে বাকী রিটেন পার্ট লেখার চেষ্টা করতে হবে। ফোকাস রাইটিং লিখতে হবে টূ দ্যা পয়েন্ট! অনুবাদ(বাংলা+ইংরেজী) একেবারেই আক্ষরিক না করে সুন্দরভাবে সেন্টেন্স অনুযায়ী ভাবানুবাদই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
কী পড়া যায়, কোথা থেকে পড়া যায়?? মাত্র ১০ দিনের প্রস্তুতিতে!
ফোকাস রাইটিং( ইংলিশ+বাংলা):
ব্যাংকের প্রস্তুতিতে ফোকাস রাইটিং মুখস্থ করা মানে সময় নষ্ট ছাড়া কিছুই নয়। মুখস্থ করার চেয়ে ঐ সময়টা কিছু কিছু ট্রান্সলেশন প্রাকটিস করা উত্তম বা ম্যাথ প্রাকটিস করা যেতে পারে। কারণ তিন চার পৃষ্ঠার ফোকাস রাইটিং মুখস্থ করে পরীক্ষার হলে কমন পড়লেও সময় হয়না মনের মত করে লেখার। তাহলে উপায় কী! উপায় হল- যেকোন বই,পেপার ইত্যাদি থেকে রিলিভেন্ট টপিকের রচনা বা নিবন্ধটি দুই তিনবার পড়ে জিস্ট বা Key point নোট ডাউন করা।এর বাহিরে এক্সাম হলে অপ্রাসঙ্গিক কিছু লেখা বুদ্ধিমানের কাজ হবেনা।
পূবালী ব্যাংকের ফোকাস রাইটিং লেখার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে সময়ের দিকে।জাস্ট key poit.
পূবালী ব্যাংকের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা যায় Banking Related/ Economic Related/ Contemporary issues নিয়ে ফোকাস রাইটিং বেশি দিয়েছিল।
সুতরাং, বুঝতেই পারা যাচ্ছে প্রশ্ন আগের ধাছে হলে ছাতা ঐ দিকেই ধরতে হবে।
তারপরও আমার কাছে মনে হচ্ছে….(বাংলা+ইংলিশ) ফোকাস:
১) একুশে বই মেলা
২)দৃশ্যমান পদ্মাসেতুর অর্থনৈতিক গুরুত্ব
৩) চকবাজার অগ্নিকান্ড ট্রাজেডি
৪) পাক-ভারত যুদ্ধে উপমহাদেশে প্রভাব
৫) ব্যাংকিং খাতে সুশাসন কতটা জরুরি
৬) ব্যাংকি সেক্টরে তথ্য প্রযুক্তি
৭) ব্লু-ইকনোমি
৮) fb/BDCareerGuide
………এই জাতীয় টপিক।
গানিতিক দক্ষতা দিয়ে চাকরি ছিনিয়ে আনা সম্ভব।
এক্ষেত্রে….
১) পূবালী ব্যাংকের বিগত সব ম্যাথ
২)জনতা ব্যাংকের ২০১০-২০১৭ পর্যন্ত সব ম্যাথ
৩) বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০১০-২০১৬ সব ম্যাথ
করতে পারলে দারুন কাজে দিতে পারে।
কেউ যদি এই স্বল্প সময়ে অধ্যায় ভিত্তিক ম্যাথ প্রাকটিস করতে চায় তাহলে….
1) Partnership***
2) Time & work***
3) Profit & loss***
4) Percentage**
5) Number System**
6) Time & distance*
চ্যাপ্টারগুলো জনাব Agarwal’র Quantitative Aptitude বই থেকে বিশেষ করে উদাহরন করতে পারেন।(প্রশ্ন হবার সমূহ সম্ভাবনা Agarwal থেকে)।
এরপরও যদি নবীন প্রতিযোগীদের কেউ ম্যাথের প্যাটার্ন বুঝতে প্রবলেম ফেইস করেন তাহলে সম্প্রতি প্রকাশিত লেখক জনাব Jafar Iqbal Ansary’র Bank Written Math বই এর ৭৫৭,৭৫৮ পৃষ্ঠার মডেলটেস্ট-৪,৫,৬ দেখতে পারেন অনেকটা ধারণা পাবেন।
এত এত লং প্লানিং প্রস্তুতি নেয়ার পরও যদি মনে হয় আরও কিছু দরকার… সেক্ষেত্রে হালকার উপর ঝাপসা সংবাদ পত্রে প্রকাশের পত্রের ফরম্যাট /ব্যক্তিগত পত্রের ফরম্যাট দেখা যেতে পারে।
সর্বপরি, ১০ দিনের এই কঠোর পরিশ্রমে সফলতার দিকে বেশ এগিয়ে যাবেন।বাকীটা ৬০ মিনিটের ইনিংসটা খেলতে হবে সতর্কতার সাথে।
আবারও সতর্কবাণী, এক্সাম হলে ম্যাথ নিয়ে গবেষক হতে গেই ফেইল করবেন। ধারণার বাহিরের একটা ম্যাথ নিয়ে গবেষণা করে ২০ মিনিট নষ্ট করার পর যদি রেজাল্ট না আসে তখন পুরাই ধরা খাবেন।কারণ ঐ ২০ মিনিটে রিটেন পার্টে ৩০ মার্কসের মত লিখতে পারতেন। তখনই ছিটকে পড়বেন মূল রেইস থেকে গ্যারান্টিড।
Happy Preparing….