অনেকেই আছেন যারা ব্যাংকিং প্রফেশনে আসতে চান এবং মনে করেন যে ইংলিশ আর গণিতই যেন চাকুরি পাবার মূল অস্ত্র। এ কথা আমি মোটেই অস্বীকার করছি না। তবে বাংলা ফোকাস  রাইটিং টাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ।এখানে কেউ ৭০ পারসেন্ট আবার কেউ ২০/৩০ পাসসেন্ট মার্ক্স পান। অথচ অনেক প্রতিযোগিতার কারণে এই মার্ক্স টা ভাইটাল হয়ে যেতে পারে।

বাংলার জন্য কি করবেনঃ
১.নীল কালিতে প্রচুর কোটেশন দিন।
২. ভাষা সুন্দর আর প্রঞ্জল করুণ।
৩. লেখাটা সুপাঠ্য করতে চেষ্টা করুন।
৪.ডাটা দিন।
৫. অনেক লেখার চেয়ে গুছিয়ে অল্প কথায় সুন্দর করে লিখুন।

কিভাবে এইগুলা অর্জন করবেনঃ

১. কিছু সাহিত্য পড়ুন যেন লেখার মান ভালো হয়।

২. নিজে নোট করুন।

৩. প্রবন্ধ পড়ুন কয়েকটা।

৪. ডাটা কালেক্ট করুন। ব্যাংকিং, অর্থনীতি বিষয়ক লেখার জন্য বড় বড় কলামিস্টদের কিছু চার্মিং বানী কালেক্ট করে রাখেন।
এই গুলা আমার একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। ভিন্ন মত থাকতেই পারে। সবার জন্য শুভ কামনা। আল্লাহ সবাই কে উত্তম রিজিক দিন সেই দোয়া করি।
উদাহরণ হিসাবে কৃষি ব্যাংকের অফিসার ১৭ ব্যাচের বাংলা রাইটিং ” বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ” এর স্টার্টিং টা দিলাম। ভালো না লাগলে নিজ গুনে ক্ষমা করে দিবেন।😋

“একই গোলাপের দুটি বৃন্ত, হিন্দু মুসলমান-
হিন্দু তার নয়নের মনি, মুসলিম তার প্রাণ।”

কবির চেতনার সাথে যেন বাঙ্গালীর হাজার বছরের আবেগ অনুভূতি মিলে মিশে একাকার হয়ে আছে আবহমান কাল ধরে। বাংলার হিন্দু , মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টান যেন একই গোলাপের চার‍টি পাঁপড়ি, যাদের অবস্থানটা কিছুটা ভিন্ন হলেও রুপ, রস, গন্ধটা একই,যেন  একই শেকড়ের বাধনে তারা বাধা। হিন্দু মেলায় মুসলমান ছেলের বোন কে কিনে দেওয়া মাটির পুতুল অথবা ঈদের দিনে হিন্দু ছেলের নতুন জামা পরিধান যেন অবহমান বাংলাদেশের হাজার বছরের সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির ধারক। এ জন্যই হয়তো কবি বলেছেন,

” শুন হে মানুষ ভাই, সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই”। বাংলার সব ধর্মের সব বর্ণের সব মানুষই একই মায়ের সন্তান। নজরুলের ভাষায়ঃ
” হিন্দু না ওরা মুসলিম- এই জিজ্ঞাসে কোন জন?
কান্ডারী বলো মরিছে মানুষ, সন্তান মোর মার”!!
কবির এই দুই লাইনের উপলব্ধিই যেন হাজার বছরের বাঙ্গালীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অনন্য মহাকাব্য।…………………….

Mahmud Kabir Pappu
অফিসার
বিকেবী
সিনিয়র অফিসার(সুপারিশ প্রাপ্ত )
সোনালী ব্যাংক