ইন্টারভিউর পর ইন্টারভিউ দিচ্ছেন। আপনার মতে ভালোও হচ্ছে ইন্টারভিউগুলো।
কতবারই ভেবেছেন, এবারই পেয়ে যাবেন সোনার হরিণটির দেখা। কিন্তু না, ইন্টারভিউর পর আর আপনাকে ডাকছে না সোনার হরিণের মালিক। বুঝতেও পারছেন না কেন এমন হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে যারা পড়েছেন, তারাই বোঝেন কত ইন্টারভিউয়ে কত জ্বালা।
–
সবকিছু ঠিক থাকার পরও চাকরি না হওয়ার বা না পাওয়ার কিছু কারণ খুঁজে বের করেছে মনস্টার ডটকম, দ্য গার্ডিয়ানসহ আরও কিছু বিখ্যাত সংবাদ মাধ্যম। চলুন! জেনে নিই কী সেই দুর্বলতা, যেগুলো পিছিয়ে দিচ্ছে চাকরিপ্রার্থীকে অন্য সবার থেকে।
–
সঠিক নির্দেশনা অনুসরণ না করা
আবেদনের জন্য বিজ্ঞপ্তিতে কিছু নির্দেশনা দেয়া থাকে। অনেকেই পুরোপুরি শর্ত না মেনেই আবেদন করেন। ফলে ভালো ইন্টারভিউ বা যোগ্যতা থাকাসত্ত্বেও প্রার্থীকে বাছাই তালিকার বাইরে রাখতে হয়। তাই বলছি, সোনার হরিণটির দেখা পেতে চাইলে, অবশ্যই সবগুলো শর্ত মেনেই আবেদন করতে হবে আপনাকে।
–
বারবার চাকরি বদলানোর মানসিকতা
আপনার যদি চাকরি বদলানোর মানসিকতা থেকে থাকে তবে কোনোভাবেই তা বুঝতে দেয়া যাবে না। তাহলে ইন্টারভিউ বোর্ড ধরেই নেবে, এ চাকরিটিও আপনি বদলে ফেলবেন। তারা তো একজন লোককে এ আশায় নিয়োগ দেবে না যে, ক’দিন পর সে অফিস ছেড়ে চলে যাক। আপনার বিকল্প খোঁজার জন্য একই ঝামেলা অফিস বারবার পোহাতে চাইবে না- এটাই তো স্বাভাবিক।
–
অভিজ্ঞতার অভাব
যেসব ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা চাওয়া হয়, সেখানে যদি অভিজ্ঞতা ছাড়াই আবেদন করেন, তবে ধরেই নিতে পারেন চাকরিটি আপনার হচ্ছে না। অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে অনেক সময় যেমন চাওয়া হয় তেমন না দিয়ে আমরা বেশি কম দিই। কম যদি ‘একটু কম’ হয় তবে বোর্ড বিবেচনা করতে পারে। যেমন, পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা চেয়েছে, আপনি চার বছর দিয়েছেন। কিন্তু যদি দুই বছরের অভিজ্ঞতা দিয়ে আবেদন করেন তবে বিবেচনায় বাইরেই রাখা হবে আপনার সিভিটি।
–
অতিরিক্ত যোগ্যতা
হ্যাঁ! অতিরিক্ত যোগ্যতাও অনেক সময় চাকরি না পাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেমন, আপনি যদি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর করে এইচএসসি শর্তের কোনো জবের জন্য আবেদন করেন, তবে কোম্পানি আপনাকে বাছাই করবে না। কারণ, কোম্পানি জেনে-বুঝেই এইচএসসি পাস শর্ত দিয়েছে। একই সঙ্গে এটাও তারা ভালো করে বুঝে, অতিরিক্ত যোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থী বেশি দিন এ চাকরিটি করতে চাইবে না। তাই আবেদনের সময় এ বিষয়টি মাথায় রেখেই আপনাকে আবেদন করতে হবে।
–
বেতন যদি বেশি চান
কাজ ও সময় বুঝে আপনাকে বেতন চাইতে হবে। বেতন যদি বেশি দাবি করেন, তবে যত ভালো ইন্টারভিউ-ই দেন না কেন, বোর্ড আপনার বিকল্প ভাবতে বাধ্য হবে। তাই এ কাজের জন্য কেমন বেতন দেয় খোঁজ-খবর নিয়েই ইন্টারভিউ বোর্ডে যেতে হবে আপনাকে।