আপনি দামি ভার্সিটিতে ফার্স্ট হিসেবে কোয়ালফাইড হলে পত্রিকার শিরোনাম হবেন,
ভাল চাকরি পেলে বন্ধুমহলে অভিনন্দিত হবেন, কম্পিটিশনে চ্যাম্পিয়ান হলে আপনার সাথে সেলফি তুলতে সবাই পাগল হয়ে যাবে। আর আপনার যদি এমন কোনো সফলতা না থাকে, তবে কেউ খোঁজ নিতেও আসবে না। এই পৃথিবীটা খুবই স্বার্থপর। সত্যিই স্বার্থপর।
ভার্সিটিতে চান্স না পেলে আপনি রুমের দরজা বন্ধ করে নিজেই কাঁদবেন একা একা, অথচ আপনার বন্ধুটির টাইমলাইনে অভিনন্দন এর বন্যা বয়ে যাবে। চাকরিটা না পেলে বুকের কষ্ট চেপে আপনাকে ঠিকই টিউশনের জন্য দৌঁড়াতে হবে। মন খারাপ করে একদিন টিউশনে না গেলে পরদিন হয়তো সেই টিউশনিটাই থাকবে না। পৃথিবীটা খুব নিষ্টুর। এই পৃথিবী এতটাই নিষ্ঠুর যে, আপনাকে কষ্ট দিবে, আঘাত দিবে, যন্ত্রণা দিবে কিন্তু কান্নার সময়টুকুও দিবেনা।
আপনার নামি অফিসার বন্ধুটি যখন মাস শেষে তার প্রেয়সীর জন্য উপলক্ষ ছাড়াই দামি উপহার কিনছে, আপনি তখন আপনার প্রেয়সীর জন্মদিনের মত বড় উপলক্ষেও দেখা করতে পারছেন না মাসের শেষেও পকেট শুন্য থাকায়। তখনো আপনার পরিচয় শুধু একজন টিউশন মাস্টার। আপনার সেই বন্ধুটি খুবই বন্ধুবৎসল কারণ সে প্রায়ই উপলক্ষ ছাড়াই ট্রিট দেয় দামি রেস্টুরেন্টে। কিন্তু বন্ধুমহলে আপনার পরিচয় একজন হাড় কিপটে। কারণ বেকারত্বের বোঝা কাঁধে নিয়ে শুন্য পকেটে কাউকে ট্রিট দেয়ার সামর্থ্যটুকুও আপনার নেই। বিশ্বাস করেন, কেউ জানতেও চাইবেনা মাসের শেষে টিউশনের সামান্য ক’টা টাকা দিয়ে আপনার জীবনটা আসলেই চলে কি-না। সবাই শুধু আপনার কৃপণতা দেখবে কিন্তু আপনার বেকারত্বের দিকে এত নজর দেয়ার সময় কারো হবেনা। পৃথিবীটা খুবই স্বার্থপর।
বেকার ছেলেটির চোখের কোণের জলে ছলছল করছে। বন্ধুর বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সংবাদে যতজন টাইমলাইনে অভিনন্দন জানিয়েছে, তার নিজের জন্মদিনে তার অর্ধেকও কেউ এত উইশ করেনি। পৃথিবীটা সত্যিই স্বার্থপর। আপনার অফিসার বন্ধুটি যখন মায়ের জন্য ১১ হাত লম্বা দামি শাড়ি কিনছে, আপনি তখনো ১১ ইঞ্চি ছোট্ট রুমালে চোখের জল মুছতে ব্যস্ত। কবে একটা চাকরি পাবেন আর মায়ের জন্য শাড়ি কিনবেন। মায়ের বয়স তো ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দুষ্ট বোনের দুষ্টামীর বয়সটাও পার হয়ে যাচ্ছে। সময় থাকতে যদি তাদের শখগুলো পূরণ করা না যায়, তবে আজীবন পূর্ণতার মাঝেও এক অপূর্ণতা নিয়ে বাঁচতে হবে। একদিন আপনি হয়তো অনেক কিছুই হবেন, কিন্তু আপনার সেই ‘অনেক কিছু হওয়াটা ‘ যদি আপনার মা বাবা দেখে যেতে না পারেন, তবে এর চেয়ে বড় আফসোস আর কী হতে পারে! কারণ আপনি স্বপ্ন কী বুঝার আগেই যারা আপনাকে নিয়ে প্রথম মহাস্বপ্ন দেখেছেন, তারা আপনার মা বাবা।
কষ্ট কি সেই মেয়েটির ও কম, যে কি-না শুধু নিজের একটা আইডেন্টিটি তৈরি করার জন্য এখনো পাত্রপক্ষের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলছে। কেউ বলবে মেয়েটির নিশ্চয় কারো সাথে সম্পর্ক আছে, আবার কেউ কেউ মেয়েটির সৌন্দর্য নিয়েও নেগেটিভ কথা বলতে একবার চিন্তা করবে না। অথচ শুধু একটা চাকরির জন্য গ্র্যাজুয়েট মেয়েটিকেও এত কথা শুনতে হয়, ঠিক এতটাই নিষ্টুর কষ্ট মেনে নিতে হয়। পৃথিবীটা আসলেই স্বার্থপর। কেউ মেয়েটির মনের ইচ্ছেটা দেখতেও চাইবেনা। সবাই শুধু দেখবে মেয়েটির বিয়ে হচ্ছে না। অথচ কেউ বুঝবে না, মেয়েটি যে আসলে এখন বিয়ে করতে চাইছে না।
পৃথিবী নিষ্টুর হয়েছে হোক। আপনি কেন নিজের প্রতি নিষ্টুর হবেন? সফল হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনাকে ভালোবাসার মত কাউকে পাবেন না। কিন্তু একবার সফল হয়ে গেলে এত বেশি ভালোবাসা পাবেন যে, সব ভালোবাসার রিপ্লাই দেয়ার সময়ও পাবেন না। সফল হওয়ার আগ পর্যন্ত নিজেকে নিজেই ভালোবাসতে হয়। কষ্টের উপর কষ্ট রেখে, দাঁতে দাঁত চেপে জেদ করে শুধু লেগে থাকতে হবে টার্গেট পূরণের আশায়। আজ যারা বলছে “তোমাকে দিয়ে আর কিছুই হবে না “, কাল আপনি সফল হলে পরশু আবার তারাই বলবে “জানতাম তোমাকে দিয়েই হবে
ভার্সিটিতে চান্স না পেলে আপনি রুমের দরজা বন্ধ করে নিজেই কাঁদবেন একা একা, অথচ আপনার বন্ধুটির টাইমলাইনে অভিনন্দন এর বন্যা বয়ে যাবে। চাকরিটা না পেলে বুকের কষ্ট চেপে আপনাকে ঠিকই টিউশনের জন্য দৌঁড়াতে হবে। মন খারাপ করে একদিন টিউশনে না গেলে পরদিন হয়তো সেই টিউশনিটাই থাকবে না। পৃথিবীটা খুব নিষ্টুর। এই পৃথিবী এতটাই নিষ্ঠুর যে, আপনাকে কষ্ট দিবে, আঘাত দিবে, যন্ত্রণা দিবে কিন্তু কান্নার সময়টুকুও দিবেনা।
আপনার নামি অফিসার বন্ধুটি যখন মাস শেষে তার প্রেয়সীর জন্য উপলক্ষ ছাড়াই দামি উপহার কিনছে, আপনি তখন আপনার প্রেয়সীর জন্মদিনের মত বড় উপলক্ষেও দেখা করতে পারছেন না মাসের শেষেও পকেট শুন্য থাকায়। তখনো আপনার পরিচয় শুধু একজন টিউশন মাস্টার। আপনার সেই বন্ধুটি খুবই বন্ধুবৎসল কারণ সে প্রায়ই উপলক্ষ ছাড়াই ট্রিট দেয় দামি রেস্টুরেন্টে। কিন্তু বন্ধুমহলে আপনার পরিচয় একজন হাড় কিপটে। কারণ বেকারত্বের বোঝা কাঁধে নিয়ে শুন্য পকেটে কাউকে ট্রিট দেয়ার সামর্থ্যটুকুও আপনার নেই। বিশ্বাস করেন, কেউ জানতেও চাইবেনা মাসের শেষে টিউশনের সামান্য ক’টা টাকা দিয়ে আপনার জীবনটা আসলেই চলে কি-না। সবাই শুধু আপনার কৃপণতা দেখবে কিন্তু আপনার বেকারত্বের দিকে এত নজর দেয়ার সময় কারো হবেনা। পৃথিবীটা খুবই স্বার্থপর।
বেকার ছেলেটির চোখের কোণের জলে ছলছল করছে। বন্ধুর বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সংবাদে যতজন টাইমলাইনে অভিনন্দন জানিয়েছে, তার নিজের জন্মদিনে তার অর্ধেকও কেউ এত উইশ করেনি। পৃথিবীটা সত্যিই স্বার্থপর। আপনার অফিসার বন্ধুটি যখন মায়ের জন্য ১১ হাত লম্বা দামি শাড়ি কিনছে, আপনি তখনো ১১ ইঞ্চি ছোট্ট রুমালে চোখের জল মুছতে ব্যস্ত। কবে একটা চাকরি পাবেন আর মায়ের জন্য শাড়ি কিনবেন। মায়ের বয়স তো ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। দুষ্ট বোনের দুষ্টামীর বয়সটাও পার হয়ে যাচ্ছে। সময় থাকতে যদি তাদের শখগুলো পূরণ করা না যায়, তবে আজীবন পূর্ণতার মাঝেও এক অপূর্ণতা নিয়ে বাঁচতে হবে। একদিন আপনি হয়তো অনেক কিছুই হবেন, কিন্তু আপনার সেই ‘অনেক কিছু হওয়াটা ‘ যদি আপনার মা বাবা দেখে যেতে না পারেন, তবে এর চেয়ে বড় আফসোস আর কী হতে পারে! কারণ আপনি স্বপ্ন কী বুঝার আগেই যারা আপনাকে নিয়ে প্রথম মহাস্বপ্ন দেখেছেন, তারা আপনার মা বাবা।
কষ্ট কি সেই মেয়েটির ও কম, যে কি-না শুধু নিজের একটা আইডেন্টিটি তৈরি করার জন্য এখনো পাত্রপক্ষের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে চলছে। কেউ বলবে মেয়েটির নিশ্চয় কারো সাথে সম্পর্ক আছে, আবার কেউ কেউ মেয়েটির সৌন্দর্য নিয়েও নেগেটিভ কথা বলতে একবার চিন্তা করবে না। অথচ শুধু একটা চাকরির জন্য গ্র্যাজুয়েট মেয়েটিকেও এত কথা শুনতে হয়, ঠিক এতটাই নিষ্টুর কষ্ট মেনে নিতে হয়। পৃথিবীটা আসলেই স্বার্থপর। কেউ মেয়েটির মনের ইচ্ছেটা দেখতেও চাইবেনা। সবাই শুধু দেখবে মেয়েটির বিয়ে হচ্ছে না। অথচ কেউ বুঝবে না, মেয়েটি যে আসলে এখন বিয়ে করতে চাইছে না।
পৃথিবী নিষ্টুর হয়েছে হোক। আপনি কেন নিজের প্রতি নিষ্টুর হবেন? সফল হওয়ার আগ পর্যন্ত আপনাকে ভালোবাসার মত কাউকে পাবেন না। কিন্তু একবার সফল হয়ে গেলে এত বেশি ভালোবাসা পাবেন যে, সব ভালোবাসার রিপ্লাই দেয়ার সময়ও পাবেন না। সফল হওয়ার আগ পর্যন্ত নিজেকে নিজেই ভালোবাসতে হয়। কষ্টের উপর কষ্ট রেখে, দাঁতে দাঁত চেপে জেদ করে শুধু লেগে থাকতে হবে টার্গেট পূরণের আশায়। আজ যারা বলছে “তোমাকে দিয়ে আর কিছুই হবে না “, কাল আপনি সফল হলে পরশু আবার তারাই বলবে “জানতাম তোমাকে দিয়েই হবে